ভারত থেকে এল ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম

এম এ রহিম বেনাপোল, যশোর

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৪ পিএম

বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে এল আমদানি করা ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ ডিম। 
ছবি: ইনডিপেনডেন্ট

দেশের বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি রোধে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিস(১৩ হাজার ৯১০ কেজি) মুরগীর ডিম। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম ৬১ হাজার ৯৫০ পিস মুরগীর ডিম আমদানি করা হয়।


সোমবার বিকেলে বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব খালাস দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ ১ টাকা ৬৬ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকার মতো।


ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই চালানে ১৩ হাজার ৯১০ কেজি (২ লাখ ৩১ হাজার ৪০ পিস) ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রপ্তানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করনের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছেন স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।


বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ এর মালিক আব্দুল লতিফ জানান, ডিমের বাজারের অস্থিরতা নিরসণের জন্য আরো বেশি ডিম আমদানি দরকার। ইতোমধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। এভাবে ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষ অল্পমূল্যে ডিম ক্রয় করতে পারবেন।


বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাক্তার বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল ডিমের পরীক্ষণ সম্পর্কে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের কাগজপত্র পেয়েছি। এখানে ডিম পরীক্ষার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারতীয় সার্টিফিকেটের ওপর ভিত্তি করে এখান থেকে ডিমের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে। তা ছাড়া দৃশ্যমান কোনো সমস্যা থাকলে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’


বেনাপোল কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ওথেলো চৌধুরী বলেন, ‘ডিমের চালানটি সোমবার রাতে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। ডিম আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমসের ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনের পর পরীক্ষণ করা হবে। এরপর খালাস দেওয়া হবে।

No comments:

Powered by Blogger.